ভারতে চলে যান। সুখরঞ্জন পড়াশুনা করেছেন কলকাতাতেই, সাংবাদিকতায়। এছাড়া যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন ১৯৬৪ সালে, কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায়। ওখানে প্রায় চার দশক কাজ করে, ২০০৩ সালে কাজ ছেড়ে দেন। আনন্দবাজারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে গিয়ে অর্জন করেছেন বিশাল অভিজ্ঞতা। দেখেছেন একাত্তরে আমাদের মুক্তিসংগ্রাম। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাত্র কিছুদিন আগে আনন্দবাজার গ্রুপ তাদের ঢাকাস্থ অফিস গুটিয়ে নিলে, সুখরঞ্জন ১৫ আগস্টের ঘটনাবলীর প্রত্যক্ষদর্শী হতে পারেননি। তবে একাত্তর থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত দীর্ঘ ৪ বছর ঢাকায় থাকার সুবাদে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল।
আনন্দবাজারের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক পদে কাজ করা ছাড়াও, সুখরঞ্জন ‘বম্বে ব্লিৎজ’ পত্রিকার ইস্টার্ন ইন্ডিয়া করেসপনডেন্ট ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন ‘দুবাই গালফ নিউজ’-এর ইন্ডিয়ান করেসপনডেন্ট ও ‘বিবিসি রেডিও’-র কলকাতা করেসপনডেন্ট।
কাজ ছেড়ে দেবার পর ‘দৃষ্টিভঙ্গী’ ও ‘হার্ডটক’ নামে দুটো ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেছেন কিছুদিন। এখন ফ্রিল্যান্স হিসেবে লেখালেখি করছেন ভারতের বিভিন্ন কাগজে।
বেশকিছু বই লিখেছেন। বেশিরভাগই রাজনৈতিক। এর মধ্যে খুব আলোচিত হয়েছে ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশের গণহত্যার ওপর তাঁর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নিয়ে ‘মিডনাইট ম্যাসাকার ইন ঢাকা’, ‘রোল অব সিদ্ধার্থ রয় ইন ইমার্জেন্সি’ এবং ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের জীবনী নিয়ে ‘মনমোহন’।
একাত্তরে আমাদের মুক্তিসংগ্রামে মহান অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রদ্ত্ত সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে একাত্তরে তিনি অবরুদ্ধ বাংলাদেশে থেকে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করতেন।
বর্তমানে কলকাতার সল্টলেক সিটিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করছেন।