সাহিত্যের সঙ্গে সংযােগ কিশােরীবেলা থেকে; রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছ। দিয়ে পুতুলের সাহিত্যে হাতেখড়ি। রবীন্দ্রপ্রেম এতটাই প্রগাঢ় হয়ে। পড়ে, দশম শ্রেণির চৌকাঠ পেরােবার আগেই সমগ্র রবীন্দ্ররচনাবলী। পড়ে ওঠা! তারপর জীবনানন্দের নির্জন বিষন্ন পৃথিবীতে আমৃত্যু। অধিবাসগ্রহণ। ঠিক তার মাঝখানটায় বুদ্ধদেব বসু আর হুমায়ুন আজাদের বিশুদ্ধ ভাষাশিল্পকলাবাদী সাহিত্যের ঝরনাধারায় নিরন্তর। অবগাহন। এই নিয়েই পুতুলের সাহিত্যিক সত্তার স্ফুরণ আর। ক্রমবিকাশ। কবিতা পুতুলের প্রথম মাধ্যম, তাই সাহিত্যের জগতে। পুতুলের আত্মপ্রকাশটা কাব্যগ্রন্থ দিয়ে, ২০১৬ তে এসে, “পুকাব্য : উপক্রমণিকা”, যা প্রথম কাব্যগ্রন্থ। সেই থেকে থেমে। নেই পুতুলের গ্রন্থপ্রকাশ, ২০১৭ তে “পুতুলকাব্য : দ্বিতীয়। অধ্যায়”, পরের বছর, ২০১৮ তে, পুতুলের আবির্ভাব বাঙলা গদ্যে ; প্রথম উপন্যাস, ” একটি মনস্তাত্ত্বিক আত্মহনন এবং তার পুতুলকাব্যিক প্রতিবেদন”। পুতুলের গদ্য মূলত, এবং শেষ পর্যন্ত, কবিতাই। উপন্যাস প্রসঙ্গে পুতুলের বক্তব্য, “আমার উপন্যাসগুলাে। প্রকৃত অর্থে উপন্যাসের ছদ্ম আবরণে একেকটা কাব্যগ্রন্থ! আমি তাই । আমার উপন্যাসধারার নাম দিয়েছি পুতুলকাব্যিক উপন্যাস।” নারীর। মনস্তত্ত আর তার বিশ্লেষণ পুতুলকাব্যিক উপন্যাসের অন্যতম বিষয় ।। সাহিত্যিকসত্তার সঙ্গে পুতুলের অন্য সত্তাটা হচ্ছে সংগীতের । পুতুলের ভাষায়, “সাহিত্য আর সংগীত আমার এক পুতুলসত্তার দুই। শৈল্পিক উৎসারণ।” সাহিত্যে আত্মপ্রকাশের প্রায় এক দশক আগেই। সংগীতশিল্পীরূপে পুতুলের আবির্ভাব বাংলাদেশের সংগীত অঙ্গনে ।। প্রতিভা অন্বেষণ অনুষ্ঠান “কোজ আপ ওয়ান : তােমাকেই খুঁজছে। বাংলাদেশ” এর মাধ্যমে পুতুলের পরিচিতি, তারপর নিজ সাধনায় । তার প্রতিষ্ঠা । নিজের লিরিকে, সুরে আর কম্পােজিশনে পুতুলের। প্রথম আবির্ভাব ২০১২ তে, ‘পুতলগান’ দিয়ে। সেই থেকে প্রকাশিত। হয়ে চলেছে তার লিরিক আর কম্পােজিশন, যার অধিকাংশই | নিরীক্ষাধর্মী কাজ। সংগীতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন । 15696 University of Development Alternative (36 পুতুল বলেন, “সাহিত্য আর সংগীত, সংগীত আর সাহিত্য, এ-ই আমার আমৃত্যু ব্রত, আজীবন সাধনা ।”