মুনির হাসান : বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সফলতার গল্পের সাথে যে ব্যক্তির নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তিনি মুনির হাসান। তিনি একইসাথে একজন বিজ্ঞানী, লেখক, ব্লগার ও উদ্যোক্তা, যিনি তারুণ্য ও উদ্যোক্তা এই দুইয়ের মেলবন্ধনে বেকারত্বের বাঁধা ডিঙোতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য উৎসাহ জাগানিয়া প্লাটফর্ম ‘চাকরি খুঁজবো না, চাকরি দেবো’ এর সাড়া জাগানো পথচলা ও সাফল্যের পেছনেও রয়েছে এই মানুষটিরই হাত। মুনির হাসানের আরেকটি পরিচয় হলো- তিনি বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (BdOSN) এর সহকারী প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে মুনির হাসান দৈনিক প্রথম আলোর যুব কর্মসূচী সমন্বয়কের কাজে নিয়োজিত আছেন। মুনির হাসানের জন্ম ১৯৬৬ সালের ২৯ জুলাই বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। সেখানেই সেন্ট মেরিজ, মুসলিম হাই স্কুল ও মুসলিম এডুকেশন সোসাইটিতে শেষ করেন হাই স্কুলের পাঠ। বাকি শিক্ষাজীবন জুড়ে আছে চট্টগ্রাম কলেজ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে অবদান ও সম্পৃক্ততার জন্য বন্ধু মহলে ‘ম্যাথ মুনির’ নামে পরিচিত হলেও বুয়েটে তাঁর পড়ার বিষয় ছিলো ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
তামিম শাহরিয়ার সুবিন : ১৯৮২ সালের ৭ নভেম্বর ময়মনসিংহে জন্ম নেওয়া তামিম শাহরিয়ার সুবিন পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় হোমনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অতঃপর এ কে উচ্চ বিদ্যালয় ও নটরডেম কলেজে পড়া শেষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনে শেষ করেন। সরকারি কর্মকর্তার ঘরে জন্ম নেওয়া সুবিনের প্রধান আকর্ষণ প্রোগ্রামিংকে ঘিরে। তিনি প্রোগ্রামিং বিষয়ক প্রায় পাঁচশোটি সমস্যা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালে সমাধান করেছেন। নানা ভাষায় কোডিং করতে পারলেও তার পছন্দের প্রোগ্রামিং ভাষা পাইথন। তবে তার শখ লেখালিখি এবং ভ্রমণ।
তাহমিদ রাফি : তাহমিদ রাফি– এর জন্ম ১৯৮৮ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকা জেলায়। তিনি সেন্ট যোসেফ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালে মাধ্যমিক ও নটরডেম কলেজ থেকে ২০০৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ২০০৩, ২০০৪ ও ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক গণিত অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। ২০০৫ সালে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত ৪৬-তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে অংশনগ্রহণকারী প্রথম বাংলাদেশ দলের সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন ২০১২ সালে। স্নাতক সম্পন্ন করে তিনি কিছুদিন সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তি সময়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষা প্রসারের জন্য তামিম শাহ্রিয়ার সুবিনের সঙ্গে তিনি সহ-প্রতিষ্ঠা করেন দ্বিমিক কম্পিউটিং। এর কিছুদিন পরে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন দ্বিমিক প্রকাশনী। প্রকাশনীর মাধ্যমে তিনি কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন বই তৈরী করেছেন। সমসাময়িক সময়ে তিনি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বেসিস বিআইটিএম, বিডিওএসএন, কোড ইট গার্ল সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত প্রোগ্রামিং ট্রেনিং প্রোগ্রামে ইন্সট্রাকটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।