মিলি সুলতানার লেখায় শিল্প সাহিত্যের ঐতিহ্য কৃষ্টি ও সভ্যতার শেকড়ের গন্ধ পাওয়া যায়। সন্দেহ নেই তিনি তার সহজাত ও সাবলীল লেখনীর মাধ্যমে একটি নিজস্ব ধারা তৈরি করেছেন। লেখিকা সমানতালে গল্প উপন্যাস কবিতায় সুনিপুণতার ছাপ রেখেছেন। যা দেখে পরিলক্ষিত হয়, তার ক্ষুরধার লেখা আগামী দিনগুলোতে তাকে সুসাহিত্যিকের পর্যায়ে নিয়ে যাবে। তার গল্পের ভাঁজে ভাঁজে থাকে নাটকীয়তা। যা লেখিকার কাব্যরস বা সাহিত্যের ধারাকে ক্ষুন্ন করে না। কখনও তার লেখায় প্রকাশ পায় গভীর মমত্ব, কখনও তীব্র ঘূণাসহ প্রতিবাদ। কখনও জীবনের খোলামেলা দিক উঠে আসে। একজন লেখকের কলমে বহুমাত্রিকতা থাকবে- এটাই নিয়ম। লেখক নির্দিষ্ট ফ্রেমবন্দি হতে পারেন না। তিনি একজন সুলেখক ও শব্দ চৈতন্যের কারিগর। নব্বইয়ের আতপ্ৰকাশ। এসএসসি করেছেন আগ্রাবাদ বালিকা বিদ্যালয় থেকে এবং চট্টগ্রাম সিটি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। মিলি সুলতানার জন্মস্থান কুমিল্লা। জন্ম ১১ই মে বৃষ রাশির জাতিকা। বর্তমানে আমেরিকায় স্বামী ও দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে বসবাস করছেন। সাহিত্যের ভাণ্ডারকে শিল্প সুষমায় ভরিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে দিন দিন তার পারঙ্গমতা প্রমাণিত হচ্ছে। সাহিত্যচর্চার আরেক দিক হচ্ছে সহমর্মিতার ভাইরাস। মিলি সুলতানা তার লেখার ভাইরাস পাঠকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার লেখার প্রতিক্রিয়া তারই প্রমাণ বহন করে। তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে আছে অন্ধকারের হায়েনা, মধুরিমা, রইব তোমার সাথে, অন্তরে আছ তুমি, যুদ্ধশিশু, খুঁজে পাবেনা নীল সীমানা, ওগো সুকন্যা, কোয়েলের মধুপূর্ণিমা, অলৌকিক ক্ষুধা, দেহকর, স্বপ্নের মল্লিকা ইত্যাদি। কিছু লেখা নিজের চেতনা থেকে লিখতে হয়। একজন লেখকের অন্তদৃষ্টি পতিত হয় মানুষের জীবনের প্রতি। জীবনকে কেটে কেটে তুলে আনতে হয়। জীবনবোধের গুঢ় রহস্যকে অনুধাবন করে তুলে এনে সার্থক গল্প উপন্যাসে রূপ দিয়েছেন লেখিকা। নিজের ইমপালস থেকে ওই লেখা বেরিয়ে আসে এটা মিলি সুলতানা প্রমাণ করেছেন।