তরুণ কবি মিজানুর রহমান হৃদয়ের উপন্যাসের ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছে না পাওয়ার হাহাকার ভালোবাসার দহন । হৃদয়ের গভীরতা, জীবনের বিস্ময় এবং অভিজ্ঞতা গুলো উপন্যাসের ভাষায় তিনি রূপায়িত করেছেন শিল্পঋদ্ধ মননে । যা মননশীল এবং গভীর ব্যঞ্জনাবাহী । যাতে স্নিগ্ধ প্রেমের অনুভূতি গুলো অনুরণিত হয়েছে অপরিসীম বেদনায়, সংযমী ভাষায় । এই তরুণের শুভ্র ডানায় নিত্য খেলা করে অনন্তের মেঘ । সহজতা, সূদুরতা, অস্তিত্ব ও অস্তিত্বহীনতা যেনো হাত ধরাধরি করেই চলে এই তরুণের লেখনিতে । জীবন কে তিনি দেখেছেন মায়ার এক বিকল্প স্বত্তা হিসেবে । যে কারণে মজ্জাগত বিদ্রোহী হলেও হৃদয়ের স্বর উচ্চকণ্ঠ নয় । বরং ভরা নদীর মতো তার বিদ্রোহে গতি আছে । সে গতির নাম প্রেম । কৈশোরে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া ‘আলোকিত মানুষ’ হওয়ার স্বপ্ন ? তাও যদি সে স্বপ্ন হয় কোনো তরুণের ? সমাজে পেটের তাগিদে নয়, বাঁচতে চায় মানুষের ভালোবাসায় ? সমাজে সবাই সে স্বপ্নের রঙ ছড়াতে পারে ? পারে না । কিন্তু , সে স্বপ্নের রঙ ছোঁয়ার দুর্মর ইচ্ছে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তরুণ কবি মিজানুর রহমান হৃদয় । তিনি একাধারে কবি, লেখক, ওয়েব ডিজাইনার । অল্প বয়সে একের মধ্যে অনেক কিছু । সখ তার বিশ্ব ঘুরে দেখা, আর অসহায় মানুষ কে ভালোবেসে কিছু করা, কিন্তু , অল্প বয়সেই পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় হাল ধরতে গিয়ে আপাতত শখ অবদমিত । পরিবার কে সুখী দেখাই যেনো তার বিশ্ব ঘুরে দেখার চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ । ছোট দুই ভাই কে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন টাই এখন তার কাছে বিরাট শখ । লেখা – লেখি তার তার প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নেয়ার অক্সিজেন । ছোট বেলা থেকেই অন্য কোনো অভ্যাস রপ্ত না করে লেখা – লেখি টাকেই ব্রত হিসেবেই নিয়েছেন । এরপর আর কলম থামে নি । আর তাতে অনুপ্রেণার জল ঢেলেছেন প্রিয় বন্ধুরা এবং একজন বিশেষ মানুষ । ভালোবাসার কবিতা লিখলেও তরুণ এই কবি সমাজের অসঙ্গতি, অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিবাদী এবং লেখেন সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে । তার লেখায় ছড়িয়ে আছে প্রেম, দ্রোহ আর মানুষের প্রতি গভীর মমত্ব । তোমার অপেক্ষায় তার প্রথম উপন্যাস । ‘কী ভুল ছিলো আমার’ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ যা প্রকাশিত হয় ২০১৮ এর বইমেলায় । জন্ম তার পুরান ঢাকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ।