বাংলাদেশের সাহিত্য সমাজ আমাকে গোনায় ধরে না, একে একে ৭টি বই মার্কেটে চলে এল, সেগুলো উইপোকার প্রিয় খাবারমাত্র। কোরবানির হাটে অবিক্রীত গরু নিয়ে ভগ্ন মনোরথ বাড়ি ফেরার কালে হতাশ গরুর ব্যাপারি যেমন কপাল চাপড়ায়, আমি চাপড়ানোর কিছু না পেয়ে প্রতিবার লেখার উদ্দেশ্যে বসি আর ভাবি, বই না লিখে ফ্ল্যাটের দালালি করলেও একটা নিদারুণ স্বস্তিদায়ক জীবন পাড়ি দিতে পারতাম। মাত্রই তো ৬৫-৭০ বছরের মামলা, গোসল করতে যত সময় লাগে তারও আগে ফুরিয়ে যেত জীবন।
কিন্তু ষৎকো, 41, পিথাগোরাস, গৌতম বুদ্ধ, গ্যালিলিও, রামানুজন, কাফকা, মিলান কুন্ডেরা, লিলিয়ান গার্সিয়া, সোহাগ ভাই, চমক হাসান, আরমান ফারহানা ব্রতী, রূপা গাঙ্গুলি, ওমর বহ্নি, আলমগীর, টেন্ডুলকার, পাপড়ি, সঞ্চিতা দে, ৩১৭৯, মাইকেল মধুসূদনসহ আরো অসংখ্য অবসেনন-ক্যারেক্টার আমার গলায় নাইলন সুতা বেঁধে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়েছে, একটা টেবিলের ওপর বসে আছি বলে প্রাণরক্ষা। যতক্ষণ লিখব, টেবিলটা থাকবে, ফ্ল্যাটের দালালি বা অন্য কোনো চিন্তা করলেই টেবিলটা ঠেলে সরিয়ে দেবে; মূলত সেই ভয়েই লিখতে হচ্ছে। কোনোভাবে নাইলনের ফাঁসটা ছোটাতে পারলে দালালিতে নেমে পড়তাম সেই কবেই! আপনার চাহিদাপত্র জানিয়ে ই-মেইল করতে পারেন
[email protected]