ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট এবং পিএইচ.ডি লাভ করেছেন আমেরিকা থেকে বিজ্ঞানের ছাত্র হলেও সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় তার রয়েছে অবাধ বিচরণ। লেখালেখির সাথে জড়িত দু’যুগ ধরে। বিজ্ঞান, উপন্যাস, ছােটগল্প, প্রবন্ধ, ভ্রমণ কিংবা অনুবাদ সবকিছুই লিখতে পারেন অনায়াসে। দৈনিক সংবাদের রিপাের্টার হিসেবে কাজ করেছেন পাঁচ বছর। ইত্তেফাক গ্রুপের সাপ্তাহিক রােববারের ফিচার বিভাগের প্রতিবেদক ছিলেন সাত বছর । আশি ও নব্বই দশকে সাপ্তাহিক বিচিত্রা, রােববার ও সচিত্র সন্ধানীর অনেক জনপ্রিয় প্রচ্ছদ কাহিনীর রচয়িতা তিনি। তাঁর লেখা প্রবন্ধ ও কলামের সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি।
নিউইয়র্কের ওয়েস্ট মিনিস্টার পাবলিকেশনস ও ইতালির মনডুজি এডিটরি থেকে তার একাধিক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। আমেরিকা, নিউজিল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, জাপান, পাকিস্তান ও ভারতের বিভিন্ন বিজ্ঞান-বিষয়ক সাময়িকীতে তাঁর একাধিক নিবন্ধ ছাপা হয়েছে। টেলিভিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযােগিতায় তিনি শ্রেষ্ঠ বক্তা হয়েছেন বেশ কয়েকবার। সৃজনশীল গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন দু’বার।
এশিয়াটিক সােসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাপিডিয়াতে দেশের যে ক’জন গবেষকের নিবন্ধ সংকলিত হয়েছে তিনি তাদের একজন। সৃজনশীল সাহিত্য রচনায় তার হাতেখড়ি দু’যুগ আগে। তাঁর প্রথম গল্প ‘উত্তরের জানালা’ প্রকাশিত হয় ভারত বিচিত্রায়। ১৯৮২ সালে। তার লেখা উপন্যাস উপদংশ ও গল্পসংগ্রহ ‘লুসিয়ানা’ বােদ্ধা মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। তাঁর রচিত একাধিক উপন্যাস ও গল্পে তিনি বিজ্ঞানের সাথে সাহিত্যের এক অসম সেতুবন্ধন রচনার চেষ্টা করেছেন। এ পর্যন্ত তাঁর লেখা ২২টি বই প্রকাশিত হয়েছে। সাহিত্য তার নেশা, পেশা নয়। স্ত্রী ডাঃ শিখা গাঙ্গুলী চন্দনা, এক ছেলে এক মেয়ে সুদিপন আর অনিন্দিতাকে নিয়ে লেখকের সংসার।