বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের কাছে পাঞ্জেরি প্রকাশনী পৌঁছে দিয়েছে বিশ্ববিখ্যাত বহু ক্ল্যাসিক। আর সেসব ক্ল্যাসিকের অনেকগুলোর প্রচ্ছদ ও ইলাস্ট্রেশনের পেছনে রয়েছে তৌহিদুল ইকবাল সম্পদের সৃজনশীল মস্তিষ্ক। তবে শুধু কমিকসের ছবি আঁকাই নয়, কমিকস লেখাতেও সিদ্ধহস্ত তিনি। মাত্র সাত-আট বছর বয়স থেকেই তিনি কমিকস লেখা শুরু করেন। ১৯৯২ সাল থেকে শুরু হয় কিশোর পত্রিকায় কমিকস লেখার কাজ। প্রথম কমিকস ছিল ‘রিঙ্কু পিঙ্কুর বেড়া দেওয়া’। সেবা প্রকাশনীর কিশোর পত্রিকার জন্য কমিক স্ট্রিপ তৈরি করতে গিয়েই পেশাজীবনের শুরু হয় তাঁর। ছোটবেলা থেকেই আঁকাআঁকির প্রতি নেশাটা তখন বদলে যায় পেশায়। কাজী আনোয়ার হোসেনের ‘কুয়াশা’ সিরিজের পাঁড় ভক্ত তৌহিদুল ইকবাল সম্পদের জীবনের বেশিরভাগ জুড়েই রয়েছে কমিকস। তাঁর সৃষ্টিতে আমেরিকান লেখক ও ইলাস্ট্রেটর উইলিয়াম অ্যান্ড্রু লুমিসের বেশ প্রভাব রয়েছে। অ্যানিমেশন প্রযুক্তি তাঁকে অনেক আকর্ষণ করে, ২০০১ সাল থেকে তিনি অ্যানিমেশনের সাথেও যুক্ত রয়েছেন। তাঁর জন্ম সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জে হলেও বেড়ে ওঠা ঢাকাতে। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনাও করেছেন ঢাকাতেই। পেশাজীবনের অনেকটা অংশ কেটেছে ফ্রিল্যান্সিং করে। তৌহিদুল ইকবাল সম্পদ এর বই সমগ্র এর মাঝে ‘দুর্জয় সিরিজ’ ও ‘মারুফ সিরিজ’ উল্লেখযোগ্য। দুর্জয় ও মারুফ- দুটি চরিত্রই প্রতিবাদী এবং সচেতনতামূলক কাজের সাথে জড়িত। এদের মাধ্যমে একটি ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দেবার ইচ্ছা রাখেন তৌহিদুল। এছাড়া, অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে তাঁর নিজস্ব টিউটোরিয়াল- স্যামস প্যাড। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বশিক্ষিত তৌহিদুল ইকবাল সম্পদ এর বই সমূহ তাঁকে তাঁর প্রত্যাশার চাইতেও বেশি খ্যাতি এনে দিয়েছে। তাই বইমেলায় যখন ভক্তরা অটোগ্রাফের জন্য ছুটে আসে, তখন তিনি বেশ অবাকই হন।