শূন্য দশকের শুরুর দিকে বাংলা সাহিত্যে যে ক’জন লেখকের আবির্ভাব ঘটে ইমন চৌধুরী তাদের অন্যতম। প্রথম আলাে’র একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় সাপ্তাহিক রম্য ও বিদ্রুপ ম্যাগাজিন আলপিন-এর মাধ্যমে প্রথম হাজির হয়েছিলেন পাঠকের সামনে। এরপর ইত্তেফাক, সমকাল, যুগান্তর, সকালের খবরসহ শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব সংবাদপত্রেই নিয়মিত লিখেছেন। লিখছেন এখনও। রম্য সাহিত্যে হাতেখড়ি হলেও ইমন চৌধুরী মৌলিক গল্প, উপন্যাসেই মূলত সময় ব্যয় করেন বেশি। বড়দের পাশাপাশি ছােটদের জন্য লিখতেও স্বাচ্ছন্দ্যবােধ করেন।
গল্প, উপন্যাস, রম্য সংকলনসহ এরমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ইমন চৌধুরীর একাধিক গ্রন্থ। লেখালেখির সূত্রেই পেশাগত জীবনে বেছে নিয়েছেন সাংবাদিকতা। বর্তমানে একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক পদে কর্মরত আছেন। কাজের এত মাধ্যম থাকতে লেখালেখির জগতে এলেন কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ইমন চৌধুরীর সরল স্বীকারােক্তি, লিখতে ভালাে লাগে তাই লিখি। অথবা লেখালেখিই হয়তাে আমার নিয়তি।
বাবার সরকারি চাকরির সুবাদে ইমন চৌধুরীর জন্ম নােয়াখালীর মাইজদী সরকারি কলােনিতে। পৈতৃক নিবাস ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার দক্ষিণ পৈথারা গ্রামে। বাবা মফিজুর রহমান চৌধুরী ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী এবং মা দেলােয়ারা বেগম গৃহিণী। ছয় ভাই এক বােনের পরিবারে ইমন চৌধুরী সবার ছােট।