ইবন বায ১৯১০ সালে হিজরী জ্বিলহজ্জ মাসে সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবার ইসলাম ধর্ম পালনের জন্য বিখ্যাত ছিলো। তিন বছর বয়সে বিন বায তার বাবাকে হারান। তেরো বছর বয়সে তিনি তার ভাইদের সাথে বাজারে গিয়ে কাপড় বিক্রি করতেন। একই সাথে তিনি কোরান, হাদিস, ফিকহ এবং তাফসীরের ওপর জ্ঞানার্জন শুরু করেন। তার শিক্ষক ছিলেন মুহাম্মদ ইবনে ইবরাহীম আল আশ-শেখ। ১৯২৭ সালে যখন তার বয়স মাত্র ষোল বছর, তখন তার চোখে একটি গুরুতর সংক্রমণ হয় এবং তিনি তার দৃষ্টিশক্তি হারানো শুরু করেন। বিশ বছর বয়সে তিনি সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে একদম অন্ধ হয়ে যান।
ইবনে বায বিভিন্ন অনেক দাতব্য এবং অন্যান্য কার্যক্রমের সাথে যুক্ত ছিলেন। যেমন:
- বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসলাম প্রচারকারী সংগঠন এবং ইসলামিক সেন্টার তৈরীতে তার সমর্থন ছিলো।
- জনপ্রিয় রেডিও প্রোগ্রাম নুরুন আলা দার্ব (“আলোর পথ”), যেখানে তিনি বর্তমান বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন এবং শেওতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতেন।
- বিন বায আফগান তালেবানদের অর্থ দেওয়ার আহ্বান জানান, যারা বিংশ শতাব্দীর শেষ দশকে আফগানিস্থানে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলো। সেই যুদ্ধে অনেক সৌদি নাগরিককে ‘শুদ্ধ,তরুন সালাফি যোদ্ধা’ হিসেবে দেখা গিয়েছিলো।
ইবনে বায একজন সুবক্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি তার মসজিদে নিয়মিত বক্তব্য দিতেন। তার বক্তব্য শোনার জন্য অনেক মানুষ ভীড় জমাতো। মাঝে মাঝে তিনি লোকজনদের এশার নামাযের পর তার সাথে খাওয়ার নিমন্ত্রণ দিতেন।. ইবনে বায সেই সমস্ত মুসলিম পন্ডিতদের একজন ছিলেন, যারা বিশ্বাস করতেন যে সহিংসতার মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করা ইসলাম সমর্থন করেনা।সে জন্য তিনি জনগণকে সরকারের আনুগত্য করার আহবান জানান, যতক্ষণ না সরকার অনৈসলামিক কাজ করতে বাধ্য করে।
ইবনে বাযের লেখা বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৬০টি। তার বইয়ের বিষয়বস্তু হলো কুরআন, হাদিস, ফিকহ, ফারযিয়াত, নামায, জাকাত, দাওয়াত, হজ্জ্ব, ওমরাহ্ ইত্যাদি।এছাড়াও তিনি জাতীয়তাবাদের সমালোচনা করে বই লিখেছেন।