আবুল আসাদ (জন্ম: ৫ আগস্ট ১৯৪২) একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক ও কলামলিস্ট। তিনি দৈনিক সংগ্রামে সম্পাদক। তিনি ১৯৪২ আসলে বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার নরসিংহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা এ, কে, ছামছালুল হক ভারতের বেনারসের মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা লাভকারী একজন আলেম ছিলেন। তার মাতার নাম মজিদা বেগম। আবুল আসাদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম.এ পাশ করেন। ছাত্রজীবন থেকে তার লেখক ও সাংবাদিকতা জীবনের শুরু। তিনি কয়েকটি দৈনিক ও সাপ্তাহিকে রাজশাহী সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করেছেন। ১৯৭০ সালে ১৭ই জানুয়ারী দৈনিক সংগ্রামে সহকারী সম্পাদক হিসাবে যোগদানের মাধ্যমে তিনি সার্বক্ষণিক সাংবাদিক জীবনের শুরু করেন। ১৯৮১ সালে তিনি দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি একজন প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক। এ পর্যন্ত প্রকাশিত তার গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ইতিহাস গ্রন্থ ‘কাল পঁচিশের আগে ও পরে’ এবং ‘একশ’ বছরের রাজনীতি’, ঐতিহাসিক ঘটনার চিত্রধর্মী গল্প ‘আমরা সেই সে জাতি’ (তিন খন্ড) এবং প্রবন্ধ সংকলন ‘একুশ শতকের এজেন্ডা’। তার সবচেয়ে সাড়া জাগানো সাহিত্যকর্ম হলো সাইমুম সিরিজ। এ পর্যন্ত এই সিরিজের ৬১ টি বই প্রকাশিত হয়েছে। তিনি কয়েকবার গ্রেফতারও হয়েছেন।
আসাদ ছাত্র জীবন থেকেই লেখালেখি ও সাংবাদিকতা চর্চা করেন। ছাত্রজীবনে তিনি রাজশাহী ভিত্তিক বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় এবং সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেন। রাজনীতিবিদ ও সংস্কৃতির উপর তার কলাম প্রকাশিত হতো। তিনি দৈনিক সংগ্রামের সহকারী সম্পাদক হিসাবে ১৭ জানুয়ারী ১৯৭০ সাল থেকে সাংবাদিকতায় কর্মজীবন শুরু করেন । ১৯৮১ সালে পত্রিকাটির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ।
দৈনিক আমাদের পত্রিকার ছাপাখানা সিলগালা হওয়ার পর দৈনিক সংগ্রামের ছাপাখানায় আমার দেশ মুদ্রণের অভিযোগে ১৫ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে আবুল আসাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় ছাপাখানার ১৯ কর্মচারী গ্রেফতার হয়।[৫] এছাড়া আবুল আসাদকে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে দৈনিক সংগ্রাম কার্যালয় থেকে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন। পরে ঢাকার রমনা থানার রাজনৈতিক দলের মিছিলে অংশগ্রহণের মামলায় আদালত তাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠায়। পুলিশের দায়ের করা এ মামলায় রাস্তায় মিছিল থেকে গাড়ি ভাংচুর ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তোলা হয়। আবুল আসাদ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন।