20%

শী রিটার্ন অভ শী

Printed Price: TK. 131
Sell Price: TK. 105
20% Discount, Save Money 26 TK.
Summary: কয়েক বছর আগের কথা। কোনো এক বিশ্ববিদ্যালয় -ধরুন কেম্‌ব্রিজে (আসল নামটা গোপন রাখছি) নিজের কিছু কাজ উপলক্ষে এক বন্ধুর বাসায় কিছুদিন থাকতে হয়েছিল। Read More...
দ্রুত ডেলিভারি
ক্যাশ অন ডেলিভারি
৩দিন ইজি রিটার্ন

Book Details

Titleশী রিটার্ন অভ শী
Authorনিয়াজ মোরশেদ
Publisherসেবা প্রকাশনী
Category
Edition1st, 2014
Number Of Page344
Countryবাংলাদেশ
Languageবাংলা
Cover Typeহার্ড কভার

Book Description

প্রথমেই পাঠকদের একটা কথা বলে নিতে চাই, যে অবিশ্বাস্য ইতিহাস আপনাদের শোনাতে যাচ্ছি, তার লেখক আমি নই-আমি সম্পাদক মাত্র। কি করে জানতে পারলাম এ ইতিহাস, তা যদি বলি , খচ খচ করতে থাকবে আমার মনের ভেতর -বুঝি পাঠকরা প্রতারক ভাবলেন আমাকে। কয়েক বছর আগের কথা। কোনো এক বিশ্ববিদ্যালয় -ধরুন কেম্‌ব্রিজে (আসল নামটা গোপন রাখছি) নিজের কিছু কাজ উপলক্ষে এক বন্ধুর বাসায় কিছুদিন থাকতে হয়েছিল। সে সময় একদিন বন্ধুর সাথে হাঁটছি রাস্তা দিয়ে। এমন সময় দেখি, দুজন লোক হাত ধরাধরি করে আসছে।এরকম তো কত লোকই যায় আসে, কিন্তু ওদের কথা বিশেষভাবে আমার মনে গেঁথে গেল। কারণ ওদের একজন অসম্ভব সুপুরুষ। নির্দ্বিধায় বলতে পারি, জীবনে অমন সুপুরুষ আমি কখনো দেখিনি, সম্ভবত আর দেখবোও না। যেমন লম্বা তেমনি চওড়া। বুনো মর্দা হরিণের মাঝে যেমন দেখা যায়, অনেকটা তেমন অদ্ভুত এক শক্তি আর মহিমার আভাস তার চোখে -মুখে। অপূর্ব সুন্দর চেহারা, নিখুঁত-নিভাঁজ মুখের ত্বক। হেঁটে যাওয়া এক মেয়েকে যখন টুপি খুলে অভিবাদন জানালো, দেখলাম ছোট ছোট কোঁকড়া সোনালি চুলে ছাওয়া তার মাথা। ‘কি চেহারা, দেখেছো!’ বন্ধুকে বললাম আমি। ‘সাক্ষাৎ অ্যাপোলোর মূর্তি, যেন প্রাণ পেয়ে নেমে এসেছে মর্তে!’ ‘হ্যাঁ, জবাব দিলো বন্ধু। ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সুপুরুষ ব্যক্তিম স্বভাব চরিত্রও সেরকম। সবাই ওকে ‘গ্রীক দেবতা’ বলে। আর অন্যজনের দিকে তাকাও, ও হলো ভিনসির (দেবতার নাম এটা) অভিভাবক-দুনিয়ায় যাবতীয় বিষয়ে পাণ্ডিত, চলন্ত বিশ্বকোষ বলতে পারো, কিন্তু চেহারা দেখ-ঠিক উল্টো।’ সত্যিই তাই, ভিনসি যেমন সুপুরুষ এই লোকটা ঠিক তেমন কদাকার। বছর চল্লিশেক হবে বয়েস।ছোট ছোট পাগুলো বাইরের দিকে বাঁকানো ধনুকের মতো, চাপা বুক, শরীরের তুলনায় অস্বাভাবিক লম্ব হাত। কালো চুল লোকটার মাথায়, কুতকুত চোখ, কপালেও চল গজিয়েছে তার , আর গাল ভর্তি দাড়ি উঠে গেছে চুল পর্যন্ত। একমাত্র গরিলার সাথেই তুলনা করা যেতে পারে এ চেহারার। বন্ধুকে বললাম, ‘লোকটার সাথে পরিচিত হতে চাই আমি’। ‘ঠিক আছে,’ জবাব দিলো বন্ধু, ‘আমি চিনি ভিনসিকে, এক্ষুণি আলাপ করিয়ে দোবো তোমার সাথে।’ আলাপ হলো। কিছুদিন আগে আফ্রিকায় এ অভিযান শেষে ফিরেছি আমি। সে সম্পর্কে কথা বললাম কয়েক মিনিট। এমন সময় মোটাসোটা এক মহিলা এগিয়ে এলো আমাদের দিকে, সঙ্গে সুন্দরী একটা মেয়ে। সম্ভবত আগে থেকেই ওদের সাথে পরিচয় আছে ভিনসির, কারণ ওদের দেখেই ও এগিয়ে গেল আলাপ করার জন্য। আর বয়স্ক লোকটা মুখের ভাব বদলে গেল সঙ্গে সঙ্গে। ইতিমধ্যে তার নাম জেনে ফেলেছি-হলি। আচমকা আলাপ থামিয়ে দিল সে। আমার দিকে তাকিয়ে সামান্য মাথা ঝুঁকিয়ে হেঁটে চলে গেল ত্রস্ত ভঙ্গিতে। বন্ধু জানালেন, বেশির ভাগ মানুষ পাগলা কুকুরকে যতখানি ভয় পায় ঐ লোকটা মেয়ে মানুষকেও ঠিক ততখানিই ভয় পায়। যা হোক, সেদিন রাতেই আমি কেম্‌ব্রিজ থেকে চলে এলাম। এবং ঐ ই আমার শেষ দেখা ভিনসি এবং হলির সাথে। প্রায় ভুলতে বসেছিলাম ওদের কথা, এমন সময় মাসখানেক আগে একটা চিঠি আর দুটো প্যাকেট এসে হাজির আমার ঠিকানায়। চিঠিটা খুলে দেখলাম, লেখকের নাম ‘হোরেস হলি’ । তাতে লেখা : ‘-কলেজ,কেম্‌ব্রিজ, মে-১৮-’ ‘প্রীতিভাজনেষু, ‘এ চিঠি পেয়ে সম্ভবত আপনি আশ্চর্য হবেন। এত কম সময়ের জন্যে আমাদের আলাপ হয়েছিল যে, আমার কথা আপনার মনে না থাকাই স্বাভাবিক। সুতরাং আগে পরিচয়টা দিয়ে নেয়াই বোধহয় ভালো । বেশ ক’বছর আগে আমি এবং আমার পালিত পুত্র লিও ভিনসির সাথে আপনার আলাপ হয়েছিল, কেম্‌ব্রিজের এক পথে। এবার আশা করি চিনতে পেরেছেন। ‘ভূমিকা দীর্ঘ না করে কাজের কথায় আসি। সম্প্রতি মধ্য আফ্রিকায় এক অভিযানের বর্ণনা দিয়ে লেখা আপনার একটা বই পড়লাম। বেশ কৌতূহল নিয়েই পড়লাম। আমার ধারণা, ওদে আপনি যা যা বলেছেন তা আংশিকভাবে সত্যি আর আংশিক আপনি কল্পনার রং চড়িয়ে রচনা করেছেন।যা হোক , আপনার ঐ বইটা পড়ার পরই আমার মাথায় বুদ্ধিটা আসে। আমার অভিজ্ঞতা আমি লিখে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই( এই চিঠির সাথে পাণ্ডুলিপিটা পাঠাচ্ছি আপনার কাছে)। আমি এবং আমার পালিত পুত্র লিও ভিনসি সম্প্রতি এক অভিযানে আফ্রিকা গিয়েছিলাম। ঐ সময় আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা আপনার বইয়ের বর্ণনার চেয়ে অনেক অনেক বেশি চমকপ্রদ। সত্যি কথা বলতে কি, জিনিসটা আপানর কাছে পাঠতে আমি সঙ্কোচ বোধ করছি-পাছে আপনি অবিশ্বাস করেন আমার গল্পটা। এই ভয়েই আমি-বলা ভালো আমার, সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ,আমাদের জীবনকালে আামদের ঐ অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করবো না। কিন্তু কদিন আগে এমন একটা পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে যে ,আমার মত না বদলে পারলাম না। পাণ্ডুলিপিটা পড়া শেষ হলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন ।হ্যাঁ, আবার আমরা রওনা হচ্ছি। এবার মধ্য এশিয়ার দিকে। এবার হয়তো আরো বেশি দিন দেশের বাইরে থাকতে হবে, হয়তো কোনদিনই ফিরে আসা হবে না। সুতরাং যে অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা আমরা অর্জন করেছি দুনিয়ার মানুষকে তা ভাগ দেবো না কেন? জানি, মানুষ অবিশ্বাস করতে পারে, গালগল্প মনে করতে পারে, তবু ঘটনাটা প্রকাশ করা দায়িত্ব মনে হয়েছে আমাদের কাছে। লিও আর আমি অনেক আলোচনার পর পাণ্ডুলিপিটা আপনার কাছেই পাঠনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপনার হাতে পুরো কর্তৃত্ব থাকছে, যোগ্য মনে হলে এটা প্রকাশ করবেন, অযোগ্য মনে হলে করবেন না। কেবল একটা অনুরোধ, আমাদের আসল নামগুলো গোপন রাখবেন। ‘বিশেষ আর কি? সত্যি বলছি, যা যা ঘটেছিলো শুধুমাত্র তা-ই লিখেছি পাণ্ডুলিপিতে, কোনো ঘটনাই বিন্দুমাত্র অতিরঞ্জিত করিনি। ‘সে’ সম্পর্কে বলতে পারি, যা লিখেছি তার চেয়ে বেশি কিছু আমরা জানতে পারিনি। কে সে? কোর- এর গুহায় কোত্থেকে , কিভাবে সে এসেছিলো, কি তার ধর্ম? কিছুই আমরা জানতে পারিনি, সম্ভবত পারবোও না কোনোদিন। ‘কাজটা নেবেন আপনি? আপনার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে। বিনিময়ে , আমাদের ধারণা,চমকপ্রদ এক ইতিহাস পৃথিবীর সামনে উপস্থিত করার গৌরব আপনি অর্জন করবেন। দয়া করে পাণ্ডুলিপিটা পড়বেন, এবং আপনার সিদ্ধান্ত জানাবেন। ‘বিশ্বাস করুণ, আপনার একান্ত বিশ্বস্ত, ‘এল, হোরেস হলি’। ‘পুনশ্চ : পাণ্ডুলিপিটা প্রকাশ করার পর যদি মুনাফা হয়, সে টাকা দিয়ে আপনার যা ইচ্ছে তাই করতে পারবেন। আর যদি ক্ষতি হয়, আমার আইনজ্ঞ-মেসার্স জিওফ্রে অ্যাণ্ড জর্ডান-এর প্রতি নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছি, ওরা পুষিয়ে দেবে। যতদিন না আমরা দাবি করছি ততদিন পোড়ামাটির ফলক, গোলমোহর এবং পার্চমেন্টগুলো আপনার কাছেই থাকবে। -এল, এইচ, এইচ. চিঠিটা পড়ে বেশ অবাক হলাম। কিন্তু পাণ্ডুলিপিটা যখন শেষ করলাম তখন শুধু অবাক বললে ভুল হবে, রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। আমার ধারণা, পাঠকরাও হবেন। সঙ্গে সঙ্গে আমি ওটা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিলাম, এবং সেকথা লিখে জানালাম মিস্টার হলিকে। জবাব এলো এক সপ্তাহ পর। তবে মিস্টার হলির কাছ থেকে নয়, তার আইনজ্ঞদের কাছ থেকে। তাঁরা জানালেন , তাঁদের মক্কেল এবং মিস্টার লিও ভিনসি ইতিমধ্যে রওনা হয়ে গেছেন তিব্বতের পথে। এ-ই আমার বক্তব্য, বাকিটা পাঠকরা বিচার করবেন। গৌণ দু-একটা বিষয়ে সামান্য পরিবর্তন ছাড়া পাণ্ডুলিপিটার সম্পূর্ণ তুলে দিলাম আপনাদের জন্যে। আয়শা এবং কোর এর গুহাগুলোর রহস্য উন্মোচনের দায়িত্ব থাকলো আপনাদেরই ওপর। -সম্পাদক *লেখকের অনুরোধে আসল নাম বদলে দেয়া হয়েছে। -সম্পাদক

Author Info

নিয়াজ মোরশেদ

জন্ম:  শুক্রবার, ১৩ মে ১৯৬৬ নিয়াজ মোরশেদ যিনি মোর্শেদ নামে পরিচিত, তিনি বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সুপরিচিত দাবাড়ু। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে ১ম গ্র্যান্ড মাস্টার খেতাবধারী হবার বিরল সৌভাগ্যের দাবীদার তিনি। ১২ বছর বয়সেই তিনি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় দাবাড়ুদের একজনে পরিণত হন। ১৯৭৮ সালে তিনি যৌথভাবে ১ম হলেও টাইব্রেকারে ৩য় হন। পরবর্তীতে ১৯৭৯ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত একাধারে ৪ বছর জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হন। তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহন করেন।

Reviews

There are no reviews yet.


Be the first to review “শী রিটার্ন অভ শী”

শী রিটার্ন অভ শী
Sell Price: TK. 105
TK. 131, 20% Discount, Save Money 26 TK.
You've just added this product to the cart: