14%

পদ্মানদীর মাঝি

Printed Price: TK. 230
Sell Price: TK. 198
14% Discount, Save Money 32 TK.
Summary: পদ্মানদীর মাঝি: পদ্মানদীর মাঝি (১৯৩৬) উপন্যাসে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (১৯০৮—১৯৫৬ খ্রি.) অনুপ্রেরণা কে? সিগমুন্ড ফ্রয়েড (১৮৫৬—১৯৩৯ খ্রি.), নাকি কার্ল মার্কস (১৮১৮—১৮৮৩ খ্রি.)? এ প্রশ্নের সুরাহা করা শক্ত। সুতরাং এ প্রসঙ্গের অবতারণা Read More...
দ্রুত ডেলিভারি
ক্যাশ অন ডেলিভারি
৩দিন ইজি রিটার্ন

Book Details

Titleপদ্মানদীর মাঝি
Authorমানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
Publisherপাললিক সৌরভ
Category
ISBN9789849563310
Edition1st Edition
Number Of Page140
Countryবাংলাদেশ
Languageবাংলা
Cover Typeহার্ড কভার

Book Description

পদ্মানদীর মাঝি: পদ্মানদীর মাঝি (১৯৩৬) উপন্যাসে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (১৯০৮—১৯৫৬ খ্রি.) অনুপ্রেরণা কে? সিগমুন্ড ফ্রয়েড (১৮৫৬—১৯৩৯ খ্রি.), নাকি কার্ল মার্কস (১৮১৮—১৮৮৩ খ্রি.)? এ প্রশ্নের সুরাহা করা শক্ত। সুতরাং এ প্রসঙ্গের অবতারণা মানেই অনর্থক বাক্যব্যয়। মানিকের এই উপন্যাস পড়তে শুরু করলে পাঠকের মনে হয়, ঔপন্যাসিক সম্ভবত পদ্মার তীরবর্তী জেলে ও মাঝি সম্প্রদায়ের নিষ্করুণ জীবনকাহিনি বলতে চলেছেন। পৃষ্ঠা বিশেক পড়বার পর পাঠকের বিভ্রম কাটে। তখন তার মনে হতে থাকে যে, এটি কুবের—কপিলার মনোদৈহিক প্রেমের উপাখ্যান। উপন্যাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে গিয়ে— হোসেন মিয়া চরিত্রটির অবস্থান ও বহির্বলয় পাকাপোক্তভাবে আভাসিত হওয়ার পরে— পাঠকের ভাবনা আবার ভিন্ন পথে মোড় নেয়। এ পর্যায়ে পাঠকের মনে হয়, মানিক সম্ভবত মার্কসবাদী কথাসাহিত্য ফাঁদছেন। উপন্যাস পড়া শেষ হওয়ার পরেও পাঠক স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন না— একবার তার মনে হয়, এটি জেলে সম্প্রদায়ের মহাকাব্যিক জীবনালেখ্য; তো পরক্ষণেই তার মনে হয়, এটি আসলে ভগ্নিপতি—শ্যালিকার সমাজনিন্দিত প্রণয়কাহিনি— আবার মার্কসবাদী কথাশিল্পের পণ্ডিতি ছাঁচ ও ছক পাঠককে এমনভাবে ভাবিত করে যে, অমীমাংসিতভাবে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, এটি একটি ফরম্যাট—দেওয়া মার্কসীয় গল্প। পদ্মানদীর মাঝি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্বাধিক পঠিত, সবচেয়ে বেশি আলোচিত উপন্যাস। প্রান্তিক মানুষের জীবনসংগ্রামকে এই উপন্যাসে তিনি যেমন নির্মাণ করেছেন, তেমনইভাবে, মনোদৈহিক প্রেমের বিচিত্র রূপ—রূপায়ণেও তাঁর পারদর্শিতা অবিসংবাদিত। জেলেজীবনের ইতিকথা এবং স্তরবহুল প্রেমকাহিনিকে ধারণ করেও পদ্মানদীর মাঝিকে মহাকাব্যিক লক্ষণাক্রান্ত আঞ্চলিক উপন্যাস বলাই অধিকতর যুক্তিশাসিত এই কারণে যে, ময়না দ্বীপ কল্পনায় এবং লোকালয়—বিচ্ছিন্ন অভিনব সমাজ—পরিকল্পনায় মানিক সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা পরিচালিত। মানিক—পূর্ব বাংলা উপন্যাসের পাঠকেরা ‘ভালো চরিত্র’ এবং ‘মন্দ চরিত্র’— এই দুই ধরনের চরিত্রের সঙ্গেই কেবল পরিচিত ছিল। পদ্মানদীর মাঝিতে মানিকই প্রথম পাঠকের চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন : মানবচরিত্র দুর্জ্ঞেয়; মানবচরিত্রকে মোটা দাগে ‘ভালো’ কিংবা ‘মন্দ’ তকমা জুড়ে দেওয়া অসংগত— দৃষ্টিভঙ্গিগত ভিন্নতা এবং প্রেক্ষণবিন্দুর অবস্থানগত পার্থক্যের কারণে মানবচরিত্র একেকজনের কাছে একেক রকম। এই উপন্যাসের চরিত্র— কুবের, কপিলা, হোসেন মিয়া তার প্রামাণিক দৃষ্টান্ত।

Author Info

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (মে ১৯, ১৯০৮ – ডিসেম্বর ৩, ১৯৫৬) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক। তার প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবী জুড়ে মানবিক মূল্যবোধের চরম সংকটময় মূহুর্তে বাংলা কথা-সাহিত্যে যে কয়েকজন লেখকের হাতে সাহিত্যজগতে নতুন এক বৈপ্লবিক ধারা সূচিত হয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। তার রচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল মধ্যবিত্ত সমাজের কৃত্রিমতা, শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, নিয়তিবাদ ইত্যাদি। ফ্রয়েডীয় মনঃসমীক্ষণ ও মার্কসীয় শ্রেণীসংগ্রাম তত্ত্ব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন যা তার রচনায় ফুটে উঠেছে। জীবনের অতি ক্ষুদ্র পরিসরে তিনি রচনা করেন চল্লিশটি উপন্যাস ও তিনশত ছোটোগল্প। তার রচিত পুতুলনাচের ইতিকথা, দিবারাত্রির কাব্য, পদ্মা নদীর মাঝি ইত্যাদি উপন্যাস ও অতসীমামী, প্রাগৈতিহাসিক, ছোটবকুলপুরের যাত্রী ইত্যাদি গল্পসংকলন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলে বিবেচিত হয়। ইংরেজি ছাড়াও তার রচনাসমূহ বহু বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩রা ডিসেম্বর, মাত্র আটচল্লিশ বছর বয়সে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শক্তিশালী এই কথাসাহিত্যিকের জীবনাবসান ঘটে।

Reviews

There are no reviews yet.


Be the first to review “পদ্মানদীর মাঝি”

পদ্মানদীর মাঝি
Sell Price: TK. 198
TK. 230, 14% Discount, Save Money 32 TK.
You've just added this product to the cart: