তেরো ঘর এক উঠোন (দ্বিতীয় কিস্তি)
Printed Price: TK. 390
Sell Price: TK. 335
14% Discount, Save Money 55 TK.
Summary: ঘুমোবার সময় সালভেদর ডালি এক অদ্ভুত কাজ করতেন- একটা ধাতব চাবি নিজের হাতে রাখতেন আর ঠিক তার নিচ বরাবর রাখতেন আরেকটি ধাতুর পাত্র৷ ঘুমে তলিয়ে গেলে হাত থেকে চাবিটা ওই
Read More... Book Description
ঘুমোবার সময় সালভেদর ডালি এক অদ্ভুত কাজ করতেন- একটা ধাতব চাবি নিজের হাতে রাখতেন আর ঠিক তার নিচ বরাবর রাখতেন আরেকটি ধাতুর পাত্র৷ ঘুমে তলিয়ে গেলে হাত থেকে চাবিটা ওই পাত্রের ওপর পড়ে ভীষণ জোরে শব্দ করে উঠত আর তৎক্ষণাৎ জেগে যেতেন ডালি। এই আধো ঘুম আর আধো জাগরণের ঠিক মাঝামাঝিতে অর্থাৎ ঠিক যে মুহূর্ত থেকে স্বপ্নের খণ্ডচিত্রগুলো মূর্ত হতে শুরু করত- ওই সময় ডালি তার পেইন্টিং এর থিম খুঁজে পেতেন। স্বপ্নের ঠিক আগ মুহূর্তকে তিনি বাস্তবের মাঝামাঝি করে আঁকতেন। তার পরাবাস্তব ক্যানভাস তাই আমরা বাস্তববাদীরা সবটা বুঝে উঠতে পারি না। ১৯৩১ সালে আঁকা তার বিখ্যাত ‘ দ্যা পারসিস্টেন্স অফ মেমরি’ র আদলে করা হয়েছে ‘তেরো ঘর এক উঠোন’ দ্বিতীয় কিস্তির প্রচ্ছদ। ওই সময় থিউরি অফ রিলেটিভিটি প্রাণ পেয়েছে। সময় আর স্থান তখন আর স্থির কিছু নয়। আর তাই ডালির পেইন্টিং এ সময়ের চিত্র ধরা দিয়েছে অন্য মাত্রায়। আমরা যখন কোন গল্প পড়ি- আমাদের ঘিরে যে অনুভূতির আবহ তার অনেকটা ধারণ করি আমরা, আমাদের স্মৃতি তার সবটা সাজিয়ে নেয় অনুভূতির স্পর্শে৷ সেখানে অনুভূতিই সব- সময়ের চক্র বাধা পড়ে। অনুভূতির সাথে সময়ের এমন সম্পর্ক প্রচ্ছদশিল্পী এত সুন্দর করে তুলে আনবেন সেটা আমার ধারণার বাইরে ছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান জোসেতে উইনচেস্টার মিস্ট্রি হাউস নামে যে বাড়িটি আছে তাতে তেরো সংখ্যা মাথায় রেখে সম্ভবত দরজা জানালা সাজানো হয়েছে। বাড়িটিকে বিবেচনা করা হয় পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভূতুড়ে বাড়িগুলোর একটি হিসেবে। অনেক ভূত গবেষক সেই বাড়িতে গিয়েছেন- ভূত খোঁজার চেষ্টা করেছেন। তেরো সংখ্যাটিকে বেছে নেবার কারণেই এতসব অঘটনের সূত্রপাত কি না এটা প্রশ্নসাপেক্ষ। স্টিফেন কিংয়ের মত লেখকও তেরোকে এড়িয়ে চলেন নিছক অস্বস্তি থেকে। একটা খটমটে নামও আছে ওটার- ‘ত্রিস্ -কাই-দেকা-ফোবিয়া’ মানে তেরো সংখ্যাভীতি। আমার ক্ষেত্রে ওটা মুগ্ধতায় রূপ নিচ্ছে। কারণ হয়ত এটাই যে ‘তেরো ঘর এক উঠোন’ এর প্রথম কিস্তি পাঠক গ্রহণ করেছেন সানন্দে। ‘ তেরো ঘর এক উঠোন’ এর প্রথম বইতে তেরোটি গল্প ছিল। এবারেও তেরোর আয়োজন। তেরো সংখ্যা আজকাল কেমন মোহিত করে ফেলছে। এই মোহ থেকে বের হতে পারছি না। সব মোহ থেকে কি মুক্তি মেলে নাকি আমরা মুক্তি চাই?
Reviews
There are no reviews yet.