কেরী সাহেবের মুন্সী
Sell Price: TK. 630
Summary: কি, চারদিক যে বড় নীরব, পাখানগুলো সব গেল কোথায় —বলতে বলতে মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার বিপুল দেহ টেনে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে”।
Read More... Book Description
কি, চারদিক যে বড় নীরব, পাখানগুলো সব গেল কোথায় —বলতে বলতে মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার বিপুল দেহ টেনে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে”।
শ্রীপ্রমথনাথ বিশী(১৯০১-১৯৮৫)-র উপন্যাস ‘কেরী সাহেবের মুন্সী’(১৯৫৯) রবীন্দ্র পুরস্কারে সম্মানিত হয় ১৯৬০ সালে । উপন্যাসের ‘পঞ্চম খণ্ডে’র প্রথম পরিচ্ছেদ ‘ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ’, যার প্রথম বাক্যেই মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার (১৭৬২-১৮১৯)-এর প্রবেশ। ইতিমধ্যেই কাহিনী ‘সর্বজ্ঞকথন রীতি’তে চারখন্ডে ৪৩৩পৃষ্ঠা এগিয়েছে। মূল উপন্যাসটি ৪৬৩ পৃষ্ঠার।
লেখকের বক্তব্য অংশে লেখক জানিয়েছেন,“১৭৯৩ থেকে ১৮১৩ সালের ইতিহাস এর কাঠামো।…
…..দুই শ্রেণীর নরনারীর চরিত্র আছে উপন্যাসখানায়, ঐতিহাসিক আর ইতিহাসের সম্ভাবনা-সঞ্জাত। কেরী, রামরাম বসু, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, টমাস, রামমোহন, রাধাকান্ত দেব প্রভৃতি ঐতিহাসিক চরিত্র। রেশমী, টুশকী, ফুলকি, জন স্মিথ, লিজা, মোতি রায় প্রভৃতি ইতিহাসের সম্ভাবনা সঞ্জাত অর্থাৎ এসব নরনারী তৎকালে এই রকমটি হত বলে বিশ্বাস”২। লেখকের ইচ্ছা ছিল রামরাম বসু(১৭৫৭-১৮১৩)-র জীবনকে উপন্যাসে রূপ দেওয়ার। সেই কাজ শুরু করে তিনি উইলিয়ম কেরী(১৭৬১-১৮৩৪)-র প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। উপন্যাসের শুরুতেই আমরা দেখি ১৭৯৩এর ১১ই নভেম্বর চাঁদপাল ঘাটে পাদ্রী কেরীকে স্বাগত জানাতে স্বয়ং বসুজা (রামরাম বসু) উপস্থিত।
বাংলার ইতিহাসে সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ দুই দশক আর অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ বাংলা গদ্যের নির্মাণের যুগ। উইলিয়ম কেরীর বাংলায় আসা, ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ প্রতিষ্ঠা, শ্রীরামপুরে ছাপাখানায় একের পর এক বাংলা গ্রন্থের প্রকাশ, রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগর – সবমিলিয়ে সে এক কর্মব্যস্ত যুগ।
Reviews
There are no reviews yet.