এ ফায়ার অব ফোর্থ সেঞ্চুরি
Printed Price: TK. 550
Sell Price: TK. 424
23% Discount, Save Money 126 TK.
Summary: এ ফায়ার অব ফোর্থ সেঞ্চুরি তরুন উদীয়মান লেখিকা জিমি হাইসন এর প্রথম বই ” এ মিস্ট্রি অব ফোর্থ সেঞ্চুরি”, যা প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালে। এর পর একই প্রেক্ষাপটে ২০১৮ সালের
Read More... Book Description
এ ফায়ার অব ফোর্থ সেঞ্চুরি তরুন উদীয়মান লেখিকা জিমি হাইসন এর প্রথম বই ” এ মিস্ট্রি অব ফোর্থ সেঞ্চুরি”, যা প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালে। এর পর একই প্রেক্ষাপটে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয় লেখিকার দ্বিতীয় উপন্যাস ” এ ফায়ার অব ফোর্থ সেঞ্চুরি”। যা প্রাচীন রোমান উপনিবেশিক আবহে রচিত। এ উপন্যাসের মাধ্যমে লেখিকা অত্যান্ত সফল ভাবে পাঠকদের স্পার্টা থেকে রোম, রোম থেকে স্পার্টা সাম্রাজ্যে, ১৬০০ বছর আগের সময়ে ঘুরিয়ে নিয়ে এসেছেন। নাম দেখে কোন ভাবেই এটাকে অনুবাদ গ্রন্থ বলে ভুল করা যাবে না।
এ উপন্যাসের মাধ্যমে লেখিকা অত্যান্ত সফল ভাবে পাঠকদের স্পার্টা থেকে রোম, রোম থেকে স্পার্টা সাম্রাজ্যে, ১৬০০ বছর আগের সময়ে ঘুরিয়ে নিয়ে এসেছেন। নাম দেখে কোন ভাবেই এটাকে অনুবাদ গ্রন্থ বলে ভুল করা যাবে না। এটা সম্পূর্ন একটি মৌলিক বাংলা উপন্যাস। মূলত লেখিকা “এ মিস্ট্রি অব ফোর্থ সেঞ্চুরি” এর কাহিনী যেখানে শেষ করেছেন, তার কয়েক বছর পরের সময় থেকেই শুরু করেছেন “এ ফায়ার অব ফোর্থ সেঞ্চুরি” এর কাহিনী।
বইটা পড়া শুরু করলে প্রথমে মনে হতে পারে এটি আগের বইয়ের কাহিনীর সাথে অনেকটা না পুরাপুরি মিল, কিন্তু দুই পাতা পড়ার পরেই বোঝা যাবে এটি পরিবেশ এবং ভূখন্ডের মিল থাকলেও কাহিনী বা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে কোন মিল নাই। দেবতা প্রমিথিউসের অভিশাপ বয়ে বেড়ানো রুপে গুনে অতুলনীয় অনিন্দ্যসুন্দরী তরুনী আলেক্সান্দ্রা। তিনি মিশরীয় বংশোদ্ভুত হলেও বাস করতেন স্পার্টায়। যা ঘটে ১৬০০ বছর পূর্বে। ভাগ্যের বিড়ম্বনায় যিনি জড়িয়ে পড়েন ফিদেল নামের এক দায়িত্বজ্ঞানহীন যুবকের সাথে। যাকে আলেক্সান্দ্রার বাবা জনাব আরিসাম মেয়েজামাতা হিসেবে পছন্দ করেন।
অন্যদিকে গ্রীস থেকে নিজ দেশ রোমে ফেরার পথে যুবরাজ ইথান অরিটাস, সম্রাট বোহেমের যিনি এক মাত্র পুত্র, উদ্ধার করেন আলেক্সান্দ্রা, ফিদেল সহ আরও অনেক কে একটা নির্জন দ্বীপ থেকে। এর পর থেকে আলেক্সান্দ্রার ভাগ্য জড়িয়ে পরে যুবরাজ ইথানের সাথে এবং এর পরিনতি হয় ভয়াবহ। কাহিনীর পরতে পরতে যুদ্ধ, মিথ ও বীরত্বের প্রকাশ দেখা যায়। আরও আছে প্রেমের কারনে সাম্রাজ্য সিংহাসন আত্মীয় পরিজনকে ত্যাগ করে নিরুদ্দেশ হওয়া। আছে বিশ্বাসঘাতকা, আছে সন্দেহের কারনে প্রিয়জন হারিয়ে যাওয়া। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ এর কাহিনী। যা নিখুঁত ভাবে লেখিকা কলমের আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন।
আলেক্সান্দ্রা, যুবরাজ ইথান অরিটাস, সম্রাট বোহেম, সম্রাজ্ঞী হেরা, প্রিন্সেস ইসাবেল, জেপিডের যুবরাজ মাহিনাস, মন্ত্রী সেনেক, প্রিন্সেস রোজালিন, ফিরোডাস, সেনাপতি বারমাইজ, আরিসাম, ফিদেল, সানভির। এছাড়াও অনেক ছোট ছোট চরিত্র লেখিকা জীবন্ত ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, উপন্যাসের কাহিনীকে যারা নানা ভাবে গন্ডোগোল পাকিয়ে চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। লেখিকা জিমি হাইসন এর পড়া এটা আমার দ্বিতীয় উপন্যাস। প্রথম উপন্যাসে ভাবের গভীরতা সামান্য কম থাকলেও এ উপন্যাসে তা পূরন করে দিয়েছেন এবং পাঠক হিসেবে আমার হৃদয়ে ছুয়ে দিয়েছেন। পৌছে দিয়েছেন ১৬০০ বছর পূর্বের সময়টাতে। নতুন লেখিকা হিসেবে কোন ভাবেই উপেক্ষা করা যায় না বরং অসংখ্য ভালো বইয়ের মাঝ থেকে আমার পড়া অল্প কিছু ভালো বইয়ের সাথে যোগ হলো লেখিকার বই দুটি। অসম্ভব সুন্দর অনুভূতি ছুয়ে আছে বইটা শেষ করার পরও।
Reviews
There are no reviews yet.