আল কুরআনের বিষয়ভিত্তিক আয়াতের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা
Printed Price: TK. 300
Sell Price: TK. 210
30% Discount, Save Money 90 TK.
Summary: এই বইটিতে যেখানে যেখানে আল ক্বুরআানের কিছু আয়াত ও দোয়ার আয়াতসমূহ বাংলা উচ্চারণে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, সে আয়াতগুলি আপনারা দয়া করে ক্বুরআান মাজীদ থেকে আরবীতে পড়বেন, তাতে উচ্চারণ শুদ্ধ হবে
Read More... Book Description
এই বইটিতে যেখানে যেখানে আল ক্বুরআানের কিছু আয়াত ও দোয়ার আয়াতসমূহ বাংলা উচ্চারণে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, সে আয়াতগুলি আপনারা দয়া করে ক্বুরআান মাজীদ থেকে আরবীতে পড়বেন, তাতে উচ্চারণ শুদ্ধ হবে এবং অর্থও সঠিক হবে।
বানান সম্পর্কে কারো মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, তাই এ বিষয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন বোধ করছি। প্রথমেই “আল্লাাহ” নামের বানান সম্পর্কে জানাতে চাই যে, স্বয়ং “আল্লাাহ” আমাদেরকে তাঁর নাম কিভাবে লিখতে হবে তা নিজেই শিখিয়ে দিয়েছেন। আমার মতে কোন ভাষাতেই এর কোন পরিবর্তন হতে পারে না।
কারণ মৃত্যুর পরে দুনিয়ার সব ভাষা বাতিল হয়ে একমাত্র আরবী ভাষা চালু থাকবে। “আল্লাাহ” নামের বানানটি খুবই সহজ, অথচ মানুষ বুঝে না বা বুঝার চেষ্টা করে না।
এখানে একটাই ব্যতিক্রম ‘লাম’ এর উপর তাশদীদ, তার উপর খারা যবর ব্যবহার করায় এক আলিফ পরিমাণ টানতে হবে, তাই “আল্লাাহ” নামের বানানে অতিরিক্ত একটি “আ” কার দিয়ে টানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত: “ক্বুরআান” !
এখানে “ক্বুরআান” লিখতে আরবীতে যে হরফটি আগে আসে তা হলো ‘ক্বফ’, যাকে সাধারণত: “ক্ব” দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। অপর দিকে আরো একটি ‘কাফ’ হরফ আছে যাকে ‘ক’ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। কু¡রআনের’ প্রথম অক্ষরটি যেহেতু ‘ক্বফ’ সেহেতু শুরুটা ‘ক্ব’ দ্বারাই হওয়া বাঞ্ছনীয়।
তাছাড়া তৃতীয় হরফ আলিফের মাথার উপর একটি খারা যবর থাকায় এক আলিফ পরিমাণ টানতে হবে, তাই “ক্বুরআান” শব্দটিতেও একটি অতিরিক্ত “আ” কার ব্যবহার করা হয়েছে। তৃতীয়ত; আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ আহমদ (স.) এর নামটি একটি অনন্য নাম। আরবী ভাষায় দুটি ‘হা’ আছে, একটি গোল ‘হা’, যাকে সাধারণ ‘হ’ নামেই চিহ্নিত করা হয়।
অপরটি দেখতে প্রায় আরবী হরফ ‘খ’ এর মত তবে ‘খ’ এর ঊপরে একটি নুক্তা আছে , যা এই ‘হা’ তে নেই। মুহাম্মাদ ও আহমদ (স.) লিখতে ২য় ‘হা’ ব্যবহার হয়। এর উচ্চারণ গলার বা হলকের মধ্য থেকে করতে হয়। মুহাম্মাদ (স.) শব্দে মীম এর উপর তাশদীদ থাকায় গুন্নাহ করে পড়তে হবে, নইলে ওয়াজিব তরক করার গুনাহ হবে।
আল্লাাহর দেয়া আলোচ্য তিনটি নামের বানানের ব্যাখ্যায় যদি কেউ সন্তুষ্ট হতে না পারেন, তবে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন, মহান সৃষ্টিকর্তাও যেন আমাকে ক্ষমা করে দেন।
আমাদের বাংলা ভাষায় যে যার মতো করে উল্লিখিত বানানগুলি লিখে থাকেন, আমার মতে এ বিষয়ে “ঊলিল আমর” শ্রেণীর ব্যক্তিদের উদ্যোগী হয়ে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছা প্রয়োজন, যাতে সকলেই একই বানান ব্যবহার করতে পারেন।
Reviews
There are no reviews yet.